
দিল্লির ব্যস্ত জীবনযাত্রার মাঝে, রাতের নিস্তব্ধতায় যখন চারদিক নিঝুম হয়ে আসে, তখন প্রতিটি ঘরই যেন একেকটি আলাদা জগৎ হয়ে ওঠে। ঠিক তেমনই এক জগতে, নিধি আর তার স্বামী অর্জুন শুয়ে ছিল, গভীর রাতে। নিধির শরীর এলিয়ে ছিল অর্জুনের পাশে, কিন্তু তার মন উন্মত্ত ছিল অন্য এক তীব্র অনুভূতিতে। কয়েক দিন আগের এক ঘটনা যেন তার মন থেকে কিছুতেই মুছে যেতে চায় না।
তিন দিন আগের কথা, যখন নিধি একটি ছোট ভুল করেছিল, আর তার গুরু, যিনি একজন কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ মানুষ, তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। সেই চড়, সেই কঠিন হাতের স্পর্শ এখনো তার নরম ত্বকের উপর ছাপ রেখে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই শাস্তির স্মৃতি তাকে লজ্জিত করার বদলে এক অদ্ভুত উন্মাদনায় ভরিয়ে তুলছিল।
সে ধীরে ধীরে তার কোমল হাতে নিজের পেছনে হাত রাখল, তার নরম গোলাকার নিতম্ব ছুঁয়ে দেখল। সেই পুরনো ব্যথার রেশ যেন আবার ফিরে এলো, সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের ভেতরে এক অজানা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। সে নিজের উরু শক্ত করে চেপে ধরল, অনুভব করল, তার শরীর যেন আগুন হয়ে উঠছে। নিধি জানত, সে আর সহ্য করতে পারবে না।
সে আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে অর্জুনের শরীরে স্পর্শ করল, তার বক্সারের ভেতর হাত চালিয়ে দিল। তার আঙুলের নরম স্পর্শে অর্জুনের শরীর সাড়া দিল, সে ঘুমের মধ্যেই যেন অনুভব করল কিছু একটা ঘটছে। নিধির হাতের আলতো ছোঁয়ায় অর্জুনের পুরুষাঙ্গ দ্রুত শক্ত হতে লাগল। গরম, শক্ত, স্পর্শকাতর – যেন নিধির ইশারাতেই তা আরও উন্মাদ হয়ে উঠছিল।
অর্জুন তখনো আধো ঘুমে, কিন্তু নিধি ধৈর্য ধরতে পারছিল না। সে আস্তে আস্তে তার উপরে উঠে বসল, অর্জুনের শরীরের উত্তাপ নিজের ভেতর অনুভব করল। তার সুতির নাইটির নিচের অংশ সে সরিয়ে দিল, অর্জুনের শরীরের উষ্ণতা নিজের মাঝে নিতে শুরু করল। এক মুহূর্তেই সে অর্জুনকে পুরোপুরি ভরে ফেলল, তার শরীর এক অদ্ভুত সুখানুভূতিতে শিহরিত হতে লাগল।
নিধির কোমর তাল মিলিয়ে দুলছিল, তার প্রতিটি ওঠানামায় অর্জুনের গভীর অনুপ্রবেশ হচ্ছিল। নিধির শরীরের প্রতিটি কোণ যেন লাভার মতো জ্বলছিল। অর্জুনও এখন পুরোপুরি জেগে উঠেছে, তার হাত নিধির কোমর ধরে তাকে আরও শক্ত করে চেপে ধরল। তাদের শরীরের একসঙ্গে ওঠানামার ছন্দে ঘরের বাতাস গরম হয়ে উঠল, নিধির শ্বাস দ্রুত হতে থাকল।
শেষমেশ, যখন তাদের দুজনের শরীর একসঙ্গে তীব্র আনন্দের শিখরে পৌঁছাল, নিধি অনুভব করল যেন সে এক অন্য জগতে প্রবেশ করেছে। অর্জুনও তার গভীর অনুভূতির শেষ বিন্দুটি ঢেলে দিল নিধির শরীরে, আর সেই মুহূর্তে তাদের দুজনের শরীর তৃপ্তিতে কেঁপে উঠল।
উত্তেজনার এই মুহূর্ত শেষ হতেই, নিধি অর্জুনের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল। অর্জুন তার চুলে হাত বুলিয়ে বলল, "এত উত্তেজনা এলো কোথা থেকে?"
নিধি হেসে বলল, "তোমার কথা ভাবছিলাম, তাই!"
অর্জুন হাসল, তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। রাতের নিস্তব্ধতায় তারা দুজন একে অপরের উষ্ণতা অনুভব করল, ধীরে ধীরে তারা আবার ঘুমিয়ে পড়ল – সুখী, পরিতৃপ্ত, ভালোবাসায় মোড়া।
0 মন্তব্যসমূহ